দারুল ওহী সংবিধান
- প্রথম প্রকাশ: ০৫-০২-২০২৫ ইং
- দ্বিতীয় প্রকাশ: ২৫-০৫-২০২৫ ইং
সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ
০১। সভাপতি
- (১) প্রতিষ্ঠানের একজন সভাপতি থাকিবেন, যিনি “আল ঈমাম ট্রাস্ট” এর সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন। সভাপতি “চেয়ারম্যান” হিসেবে পরিচিতি লাভ করিবেন।
- (২) সভাপতি প্রতিষ্ঠানের অন্য সকল ব্যক্তির উর্ধ্বে স্থান লাভ করিবেন এবং এই সংবিধান ও অন্যকোনো আইনের দ্বারা তাহাকে প্রদত্ত ও তাহার উপর অর্পিত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করিবেন।
- (৩) সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত অধ্যক্ষ এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অধিনস্তদের যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাখিবেন।
- (৪) সভাপতি অথবা তাহার প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলী বণ্টন ও পরিচালনার জন্য যাবতীয় বিধিসমূহ প্রণয়ন করিবেন।
- (৫) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলে চেয়ারম্যানের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকিবেন।
০২। পরিচালনা পর্ষদ
- (১) প্রতিষ্ঠানের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে। পর্ষদে “আল ঈমাম ট্রাস্ট” এর সকল সদস্যগণ এবং “আল ঈমাম ট্রাস্ট” কর্তৃক নির্বাচিত যেকেহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হইবেন।
অধ্যক্ষ ও কো-অর্ডিনেটর
০৩। অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ
- (১) অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন এবং কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সভাপতি ও অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষের নিকট জবাবদিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
- (২) অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ তাহার দায়িত্ব পালনে সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদ ও প্রয়োজনে কো-অর্ডিনেটরের (যদি থাকে) সাথে পরামর্শ করিয়া কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।
- (৩) সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের নিকট অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ জবাবদিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
- (৪) অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ্যের অসামর্থের কারণে অথবা তার অবর্তমানে কো-অর্ডিনেটরগণ সরাসরি চেয়ারম্যানের অধিনস্ত হবেন।
০৪। কো-অর্ডিনেটর
- (১) প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা/কর্মকর্তা-কর্মচারীকে “কো- অর্ডিনেটর” হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন। যারা মূল দায়িত্বের পাশাপাশি কোন নির্দিষ্ট এরিয়ার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
- (২) কো-অর্ডিনেটরগণ নির্ধারিত এড়িয়ার নির্ধারিত কার্যক্রমের তদারকি করিতে পারিবেন এবং সভাপতি/পরিচালনা পর্ষদ ও অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষের নিকট জবাবদিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
- (৩) কো-অর্ডিনেটর তাহার দায়িত্ব পালনে সভাপতি/পরিচালনা পর্ষদ ও অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষের সাথে পরামর্শ করে কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।
- (৪) কো-অর্ডিনেটরের অসামর্থের কারণে অথবা তার অবর্তমানে বিভাগীয় কর্মচারীগণ সরাসরি অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ অথবা চেয়ারম্যানের অধিনস্ত হবেন।
০৫। কো-অর্ডিনেটর দায়িত্ব এরিয়া
- (১) প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য নিম্নে উল্লিখিত এরিয়া/বিভাগ এবং প্রয়োজনে আরো একাধিক এরিয়া/বিভাগের “কো-অর্ডিনেটর” নির্বাচন করা যেতে পারে-
- ক. কর্মকর্তা-কর্মচারী: সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয় করিবার জন্য;
- খ. জুনিয়র: প্লে-৫ম শ্রেণির সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমন্বয় করিবার জন্য;
- গ. জেনারেল:৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেনির সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমন্বয় করিবার জন্য;
- ঘ. তাহফিজ: তাহফিজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমন্বয় করিবার জন্য।
- (২) প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারী মাসে চলতি শিক্ষাবর্ষের কো-অর্ডিনেটর নির্বাচন করা হইবে। যিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করিবেন।
- (৩) প্রতিষ্ঠান বা সংবিধান বিরুদ্ধ কর্মকান্ডের জন্য যেকোন মুহুর্তে সভাপতি/পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক যেকোন কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব বাতিল করিতে পারিবেন।
দায়িত্ব ও ক্ষমতা
০৬। অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ
- (১) সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী জনবল নিয়োগ প্রদান এবং অপসারণ করিতে পারিবেন।
- (২) সপ্তাহে একদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সাপ্তাহিক মিটিং পরিচালনা করিবেন।
- (৩) মাসে একদিন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলকে নিয়ে মাসিক মিটিং পরিচালনা করিবেন।
- (৪) সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদ ও কো-অর্ডিনেটরের (যদি থাকে) সাথে পরামর্শক্রমে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।
- (৫) এছাড়াও নিয়োগপত্রে উল্লিখিত নির্দেশনাবলী পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৭। কো-অর্ডিনেটর
- (১) সপ্তাহে একদিন অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে নিজ এরিয়ার সকল জনবল নিয়ে সাপ্তাহিক মিটিং পরিচালনা করিবেন।
- (২) পরিচালনা পর্ষদ/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ কর্তৃক অনুষ্ঠিতব্য মাসিক মিটিংয়ে নিজ এরিয়ার সকল জনবলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবেন।
- (৩) দায়িত্বপ্রাপ্ত এরিয়ার জনবল থেকে জবাবদিহি নিতে পারিবেন, তবে অধিনস্তদের অপমান, অপদস্থ বা তাদের সাথে খারাপ আচরণ বিরত থাকিবেন।
- (৪) দায়িত্বপ্রাপ্ত এরিয়ার জনবলের ছুটির সুপারিশ প্রদান করিতে পারিবেন।
- (৫) এছাড়াও নিয়োগপত্রে উল্লিখিত নির্দেশনাবলী পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৮। জনবল
- (১) সাপ্তাহিক, মাসিক ও জরুরী সভাসমূহে উপস্থিত থাকিবেন।
- (২) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
- (৩) নিয়োগপত্রে উল্লিখিত নির্দেশনাবলী পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৯। অতিরিক্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা
- (১) সভাপতি অথবা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন।
১০। নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণ
- (১) শারিরীক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে বা প্রতিষ্ঠানের সংবিধান/নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডের কারণে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ এবং নিয়োগপ্রাপ্ত যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সভাপতি/পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অপসারণ করিতে পারিবে। অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ-কে ক্ষমতাবলে সভাপতি বা পরিচালনা পর্ষদ অপসারণ করিতে পারিবেন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত যেকোনো কর্মকর্তা- কর্মচারীকে সভাপতি বা পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ কর্তৃক অপসারণ করিতে পারিবেন।
আইন প্রণয়ন
১১। আইন প্রণয়ন-পদ্ধতি
- (১) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আইন, নীতিমালা ও নির্দেশিকা ইত্যাদি সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রণয়ন করা হইবে।
- (২) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের সংবিধানে নতুন কোন আইন সংযোজন, পুরাতন কোন আইন বাতিল অথবা সংশোধনের জন্য পরিচালনা পর্ষদের নিকট লিখিতভাবে প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন।
- (৩) সভাপতি বা পরিচালনা পর্ষদের অনুমতিবিহীন যেকোনো কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হইবে।
অর্থ সংক্রান্ত
১২। অর্থ-সংক্রান্ত
- (১) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিষ্ঠানের ভাউচারে লিপিবদ্ধ থাকিবে।
- (২) আয়-ব্যয়ের কোন ভাউচার প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা বহির্ভূত প্রমাণিত হইলে হিসাব কর্মকর্তা সেই বিল/ভাউচার বাতিল করিতে পারিবেন।
- (৩) নির্ধারিত দায়িত্বশীল ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় ও ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হইবে।
- (৪) প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংক্রান্ত নীতিমালার বহির্ভূত কোন কার্যক্রম অথবা অনৈতিকভাবে বিল পাসের জন্য হিসাব কর্মকর্তা-কে চাপ প্রয়োগ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হইবে।
সংবিধান সংশোধন
১৩। সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা
- (১) এই সংবিধানে যা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও-
- ক. ক্ষমতাবলে সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ এই সংবিধানের কোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন ও প্রতিস্থাপন বা বাতিলকরণের দ্বারা সংশোধিত করিতে পারিবেন।
- খ. প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সংবিধান আংশিক সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা বাতিলকরণের জন্য সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের নিকট প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন।
- গ. সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হইলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংশোধিত সংবিধান প্রকাশ করিবেন।
- ঘ. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংশোধিত সংবিধান প্রকাশ ব্যতীরেকে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হইবে।
অপরাধ ও শাস্তি
১৪। অপরাধ সমূহ
- (১) অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হবে, প্রমাণিত হইলে-
- ক. সংবিধান বিরোধী কোনো কার্যক্রম ঘটানো;
- খ. প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর অথবা মানহানীকর কার্যক্রম ঘটানো;
- গ. ক্ষমতাবলে নিকট আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগদানের চেষ্টা করা;
- ঘ. কোনো ধরণের গ্রুপিং কিংবা স্বজনপ্রীতি করা;
- ঙ. অসদাচরণ, কর্তব্যে অবহেলা এবং অনৈতিক কার্যক্রম ঘটানো।
১৫। শাস্তি সমূহ
- (১) অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হইলে-
- ক. সতর্কীকরণ করা হইবে; অথবা
- খ. বেতন কর্তন করা হইবে; অথবা
- গ. সাময়িক বরখাস্ত করা হইবে; অথবা
- ঘ. স্থায়ী বরখাস্ত করা হইবে।
বিবিধ
১৬। একাডেমিক ক্লাস রুটিন
- (১) সংবিধান অনুযায়ী জেনারেল সেকশনের একাডেমিক ক্লাস রুটিন-
- ক. সকাল ৮:০০ ঘটিকা থেকে একাডেমিক ক্লাস শুরু হয়ে দুপুর ২:০০ ঘটিকায় শেষ হইবে।
- খ. ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাইন-ইন সময় শুরু হইবে। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকা ব্যতীত অন্যান্যদের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণে সাইন-ইন সময় পরিবর্তন হইতে পারে।
- গ. প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত সবাই নিয়োগপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করিতে বাধ্য থাকিবেন।
- ঘ. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত কাজের বিনিময় প্রদান করা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করিবে।
- (২) সংবিধান অনুযায়ী তাহফিজ সেকশনের ক্লাস রুটিন
- ক. নুরানী ও নাজেরা বিভাগের ক্লাস শুরু হইবে বাদ ফজর এবং ক্লাস শেষ হইবে এশার সলাতের পূর্বে।
- খ. হিফজ বিভাগের ক্লাস শুরু হবে ফজর নামাজের ১ঘন্টা পূর্বে এবং ক্লাস শেষ হইবে এশার সলাতের ১ ঘন্টা পরে।
- গ. অত্র ধারায় উল্লিখিত সময়সূচীতে শুধুমাত্র ক্লাস শুরু ও শেষের সময় উল্লেখ করা হইয়াছে। কো-অর্ডিনেটর অথবা অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ কর্তৃক উক্ত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রুটিন তৈরি করে প্রকাশ করিবেন।
১৭। সকাল-বিকাল-সন্ধ্যার ক্লাস রুটিন
- সংবিধান অনুযায়ী জেনারেল সেকশনের সকাল-বিকাল-সন্ধ্যার ক্লাস রুটিন-
- ক. বাদ ফজর থেকে একাডেমিক ক্লাসের ১ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত সকালের ক্লাস হইবে;
- খ. বাদ আছর থেকে ১ঘন্টা বা রুটিন মোতাবেক বিকালের ক্লাস অনুষ্ঠিত হইবে;
- গ. বাদ মাগরিব থেকে এশার ২য় সলাত পর্যন্ত সন্ধ্যার ক্লাস অনুষ্ঠিত হইবে।
১৮। রুটিন পরিবর্তন
- (১) প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি পরিপূর্ণ রুটিন পরিবর্তন করিতে পারিবেনা। তবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থে যৌক্তিকভাবে পরিপূর্ণ রুটিন পরিবর্তনের জন্য অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ ও কো-অর্ডিনেটর সম্মিলিতভাবে সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের নিকট প্রস্তাব পেশ করিতে পারিবেন। এককভাবে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ অথবা কো-অর্ডিনেটরের পরিপূর্ণ রুটিন পরিবর্তনের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হইবে।
- (২) ক্ষমতাবলে অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ অথবা কো-অর্ডিনেটর সংবিধান না মেনে পরিপূর্ণ রুটিন পরিবর্তন করিলে অথবা পরিবর্তনে সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততা থাকিলে তাহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হইবে।
১৯। নির্দেশিকা
- (১) এই সংবিধানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত নির্দেশিকায় বর্ণিত নীতিমালা পালন করা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।